২০১৮ সালের একই সময়ে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা ছিল ওই সময়ের বিতরণ করা ঋণের ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, মার্চ শেষে সবগুলো ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। আর রাইট অফ (অবলোপন) করা ঋণ খেলাপি ঋণের সঙ্গে যোগ করলে যা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকই রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকের। মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।
এ সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় তাদের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা
অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ বেড়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও। মার্চ শেষে ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।
আর দেশে পরিচালিত ৯টি বিদেশি মালিকানার ব্যাংকে চলতি বছরের মার্চ শেষে মোট ৩৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বিতরণ করে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। যা বিতরণ হওয়া ঋণের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
সম্প্রতি ঋণ খেলাপি নীতিমালা, রাইট অফের নীতিমালা পরিবর্তন হয়েছে। এরপরও ব্যাপক হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব, ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের চাপ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের অভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে সুদের হারও খেলাপি ঋণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
সম্প্রতি ব্যাংক খাতে সুদের হার কমেছে বলে ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাস্তবে তা খুব একটা কমেনি। সময় যতো যাচ্ছে খেলাপি ঋণের নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এসই/এসএইচ