এছাড়াও রয়েছে লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ। ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতিদিনই অসংখ্য ক্রেতা মার্সেল ফ্রিজ কিনে এসব সুবিধা পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দেশীয় মার্সেল কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্সেলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, এ বছর ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। প্রতিমাসেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। বেশকিছু সময়োপযোগী উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনার কারণে ফ্রিজ বিক্রি বাড়ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ফ্রিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার ও গ্লাস ডোরের নতুন মডেল। কম্প্রেসরের ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাসহ দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া।
সাশ্রয়ী মূল্য, কম বিদ্যুৎ খরচ, অসংখ্য বৈচিত্র্যময় মডেল, দীর্ঘস্থায়ী সেবা ও গ্রাহকবান্ধব সুবিধা থাকায় বাজারে ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ। ফলে চলতি বছরে প্রথম পাঁচ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মার্সেলের ফ্রিজ বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৩৭ শতাংশ।
এদিকে, এবারের রোজায় গতবারের চেয়ে দেড়গুণ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির।
সূত্র মতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সারাদেশে ৭২ হাজার ৯৪৭ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে মার্সেলের। বিপরীতে চলতি বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছে প্রায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৯৪ ইউনিট। সে হিসেবে গত পাঁচ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৩৭ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে।
এবারের রোজায় সারাদেশে তাদের ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৯৯ ইউনিট। যা কিনা গত রোজায় ফ্রিজ বিক্রির তুলনায় দেড়গুণেরও বেশি।
সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। মার্সেল ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজি, গ্লাস ডোর, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ইত্যাদি প্রযুক্তি। এরসঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে মার্সেল ফ্রিজের গ্রাহকপ্রিয়তা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
মার্সেল ফ্রিজের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর স্থানীয় বাজারে ৯৬ মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ও ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার ছাড়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৭৯ মডেলের ফ্রস্ট, পাঁচ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ১২ মডেলের ফ্রিজার।
মার্সেল ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের ৩১ মডেলের গ্লাস ডোর, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির তিনটি মডেলসহ বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর ফ্রিজ।
নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোর ও ৪৩০ লিটারের বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রাহকরা মার্সেল ফ্রিজের কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধার পাশাপাশি স্পেয়ার পার্টস এ পাচ্ছেন চার বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধা। রয়েছে পাঁচ বছরের আফটার সেলস সার্ভিসের সুবিধা।
আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেমের আওতায় সারাদেশে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় দ্রুত বিক্রয়োত্তর পৌঁছে দিচ্ছে মার্সেল। এজন্য রয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
আরবি/