ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্লাস্টিক দানার ঘোষণায় সিমেন্ট আমদানি: মামলা দায়ের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
প্লাস্টিক দানার ঘোষণায় সিমেন্ট আমদানি: মামলা দায়ের চট্টগ্রাম বন্দর/ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: ৫১০ টন প্লাস্টিক দানার ঘোষণার চালানে দুবাই থেকে সমপরিমাণ সিমেন্ট আমদানির ঘটনায় কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

বুধবার (১২ জুন) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সজিব বাদী হয়ে নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মামলাটি করেন।

বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম।

দুবাই থেকে প্রাণ বেভারেজ লিমিটেডের নামে চালানটি গত ২৬ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। যার ঘোষণায় ছিল ৫ লাখ ৬৬ হাজার ডলারের ৫১০ টন প্লাস্টিক দানা। গত ৬ জুন কনটেইনার খালাসের চেষ্টা করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এসময় দু’টি কনটেইনার খুলে সিমেন্ট দেখতে পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরে চালানটির খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঈদের ছুটির পর মঙ্গলবার (১১ জুন) কায়িক পরীক্ষায় সৌদি আরবের জেবেল আলী ব্রান্ডের ৫০ কেজির ১০ হাজার ২৫০টি বস্তায় ৫১০ টন সিমেন্ট পাওয়া যায়। প্রতি কনটেইনারে পাওয়া গেছে ৩৫০ বস্তা সিমেন্ট। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক দানার শুল্ক অনুযায়ী ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু সিমেন্টের শুল্ক হিসাব করলে সরকারের রাজস্ব দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

কাস্টম কমিশনার বলেন, শুল্কফাঁকির চেষ্টা, মানি লন্ডারিং (মুদ্রা পাচার), সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকের প্রতারণা, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের অতীতের রেকর্ড, দুই পক্ষের চুক্তি (নথি) ইত্যাদি অনেক বিষয় বিবেচনা করে আইন ও বিধি অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে প্লাস্টিক দানার শুল্ক যেখানে ৩২ শতাংশ, সেখানে প্রাপ্ত সিমেন্টের শুল্ক ৯১-৯৫ শতাংশ। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা এ চালানের আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টাকা ছাড় না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। এছাড়া দু’টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এ চালানের জরিপ (সার্ভে) করিয়েছে। এখন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান (সাপ্লাইয়ার) যদি প্লাস্টিক দানা পাঠানোর বদলে ভুলে সিমেন্ট পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে এবং চালানটি পুনরায় ফেরত নিয়ে যায় তাহলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।

সচরাচর মুদ্রা পাচারের চালানে দেখা যায়, বেশি শুল্কে পণ্য আমদানির কথা বলে কম শুল্কের নিম্নমানের পণ্য কনটেইনারে ভরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো। তাই বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, শুল্কফাঁকি কিংবা মুদ্রাপাচার দুটো দিক আছে এ মামলায়। এটি তদন্তাধীন বিষয়। যদি তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে মুদ্রা পাচারের বিষয় এবং ফৌজদারি কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় তবে থানায় নিয়মিত মামলার সুযোগ রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এআর/টিসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।