বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে নগর ভবনে মেয়রের দফতর কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুয়ায়ী দুপুরে নগরভবনে আসেন রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো ও তার সহযোগীরা। এসময় নগর ভবনে তাকে বর্ণিল আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর দফতর কক্ষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বৈঠকে মিলিত হন।
শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র। এরপর ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র ও রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আমার প্রথম রাজশাহী সফর। এখানকার চমৎকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। এখানের মানুষদের ভালো লেগেছে। এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজশাহী কমপ্লিট সিটি। অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় আলাদা সিটি। শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে রাজশাহীর পরিবেশ চমৎকার। রাজশাহীর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও কৃষি ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন হবে। রাজশাহী এবং ইন্দোনেশিয়ার গুরত্বপূর্ণ সিটির মধ্যে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
এসময় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইন্দোনেশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সময় তিনি রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার রাজস্বের ২৫ শতাংশ আসে ট্যুরিজম থেকে। রাজশাহীর ট্যুরিজমের উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনিশয়ার রাষ্ট্রদূত।
মেয়র আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিটির সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক উন্নয়ন ও পারস্পারিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। এর মাধ্যমে দুই সিটির মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় হতে পারে। বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকেরা ইন্দোনেশিয়ায় যাবে, ইন্দোনেশিয়া থেকে এখানে আসবে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর সিল্কের প্রতি ইন্দোনেশিয়া বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যদি সিল্ক সরবরাহ করতে পারি, তাহলে তারা নেবেন বলেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসময় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, মেয়রের একান্ত সচিব আলমগীর হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নগরভবনের বঙ্গবন্ধুর কর্ণার ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরে দেখান। বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/