আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে এ এম এ মুহিতের প্রথম বাজেট ছিল ২০০৯-১০ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরের বাজেট ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এরপর থেকে প্রতি বছরই ব্যাপক হারে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু, বাজেটের আকারের সঙ্গে তুলনামূলক হারে বাড়েনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার। ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.০৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে ৭.৮৬ শতাংশ হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, কার্যকর পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রণয়নের ফলে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, রেমিটেন্স, মুদ্রাস্ফীতি, আমদানি ও রফতানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.০৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে ৭.৮৬ শতাংশ হয়েছে। এসময় রেমিটেন্স প্রবাহ ৯৬৮৯.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৯৮১.৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭৪৭০.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩২৯৪৩.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
সচিব আরও বলেন, সামাজিক গতিশীলতা, নারীর ক্ষমতায়নে ও মানব উন্নয়ন সূচকেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬.৮ বছর, ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। দারিদ্রের হার ২০০৯ সালের ৩১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮ সালে হয়েছে ২৪.৩ শতাংশ। অতি-দারিদ্র্যের হার ১৭.৬ শতাংশ থেকে কমে ১২.৯ শতাংশ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমএএম/একে