অর্থনীতিবিদরা শুধু বলেন, পোশাক খাত পরিপক্ক। আমি বলবো, আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পোশাক খাত এখনো শিশু অবস্থায় রয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেল বিজিএমইএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
রুবানা হক বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে গবেষণা নেই। বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ নেই, দক্ষ জনশক্তি নেই। বিশ্ববাজারে কিভাবে টিকে থাকবো ৪৫ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক নিয়ে? এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে বাজেটে বিজিএমইএ এর প্রস্তাবনা সুবিবেচনার অনুরোধ করছি।
বিজিএমইএ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়নি। বাজেটে মেধাকে প্রণোদনা দেওয়া আর দুর্বলকে সুবিধা দেয়া দুঃখজনক। আপনারা যদি বলেন, এ খাতে সাহায্য সহযোগিতার দরকার নেই। এ সেক্টর কি ম্যাচিউরড? এটা যখন বলেন, খুব কষ্ট লাগে। ১৬ কোটি মানুষের একমাত্র ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিযোগিতামূলক দেশের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে এ খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি প্রয়োজন।
রুবানা হক বলেন, ৮৩ শতাংশ রফতানি আয় করে আরএমজি খাত। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ৫ কোটি লোকের জীবিকা নির্বাহ করে পোশাক খাত।
তিনি বলেন, ঈদের আগে ৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে। অনেকে মেশিন বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে। অনেকে বলে, এটি পরিপক্ক খাত। প্রণোদনার দরকার নেই। আমরা পকেটে টাকা রাখি না। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গেলে নিজেদের শিশু মনে হয়।
তিনি বলেন, পোশাক খাতের অবদান ১৬ ভাগ আর বরাদ্দ ২৮০০ কোটি টাকা। কৃষি খাত কৃষিতে ১৩.৯ শতাংশ অবদান, অথচ ওই খাতে সাবসিডি কয়েকগুণ বেশি।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো, অথচ সেখানে পোশাক শ্রমিকদের রাখা হলো না। ইনোভেশন ফান্ডে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ, এটা যথেষ্ট নয়। ইনোভেশন না থাকলে কেমনে পরিপক্ক হবে ইন্ডাস্ট্রি। নতুন উদ্ভাবন না থাকলে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা যাবে না। আরএমজি খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮২৫ কোটি, যা মাত্র ০.১১ ভাগ। এটা কষ্টকর।
রুবানা হক বলেন, শিল্প খাতকে ধরে রাখতে হবে। উদ্যোক্তাশ্রেণি রাতারাতি গজায় না। সরকার পাশে থাকলে উপকৃত হবে এ খাত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবদার, ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা চাই। ছোট কারখানা বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুবানা হক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭০ ভাগ মানুষ খুশি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সল সামাদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মান্নান কচি, এমএ রহিম ফিরোজ ও মশিউল আজম সজল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
টিএম/এসএইচ