মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন্ড’র সভাপতি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে তেমন কোনো কিছু দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ভিশন ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে সামাজিক, আর্থিক, চিকিৎসা, অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে যে সব সুচিন্তিত কর্মকৌশল ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ওয়েন্ড’র পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়নের সমঅংশীদার নারী উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশের আরও কিছু প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন বলে ওয়েন্ড মনে করে।
লিখিত বক্তব্যে নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, আয়করের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বর্তমানে করমুক্ত আয় সীমা তিন লাখের পরিবর্তে পাঁচ লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু এ হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায় উত্তোলন করলে নারী উদ্যোক্তারা মূলধন পুনঃযোগান ও গঠনে সহযোগিতা পেত।
করপোরেট ট্যাক্সের ব্যাপারে তিনি বলেন, ব্যবসা খাতকে উদ্যোক্তাবান্ধব করার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত করপোরেট ও কোম্পানি সমূহে করহার হ্রাসের দাবি জানানো হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে এ দাবি আমলে নেওয়া হয়নি। নারী উদ্যোক্তাদের এ সুপারিশ আমলে না নেওয়ায় ওয়েন্ড হতাশা ব্যক্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত কোম্পানি সমূহে আমদানি-রফতানি শুল্ক হার হ্রাস করা হলে তা তাদের ব্যবসা প্রসারে সহায়ক হতো বলে ওয়েন্ড মনে করে।
ওয়েন্ড সভাপতি বলেন, পেশাগত ও কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য অনতিবিলম্বে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের কাছে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হলেও বাজেটে এ বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত নেই।
দেশের আটটি বিভাগে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কর সাপোর্ট সেন্টারের জন্য ইতোপূর্বে অনুরোধ জানানো হলেও এ বিষয়েও বাজেটে কোনো আলোকপাত করা হয়নি। এছাড়াও সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ইকোনমিক জোন, এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন, বিসিক শিল্প নগরী, আইটি পার্ক ইত্যাদিতে নারী উদ্যাক্তাদের বিশেষ সুবিধায় প্লট বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোকপাত করা হয়নি বলে জানান ওয়েন্ড সভাপতি ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।
ওয়েন্ড মনে করে উন্নয়নের ধারায় নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে এসজিডি অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে পরবে।
রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে নারী সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় সংশোধনের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘন্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএডি/এসআরএস