এছাড়াও বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সবশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
তবে মে মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর দাম কমেছে।
মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্যাদির দাম কমেছে বলে দাবি করে বিবিএস।
এদিকে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশে, (এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ) আর খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ (এপ্রিলে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ)।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শহরেও, ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর পরিমাণ এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। আর খাদ্যবহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা এর আগের এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেন, ঈদে খাদ্যবহির্ভূত আইটেমের দাম বাড়তি ছিল। যে কারণে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে সামনে আবারও সব কিছু স্বাভাবিক হতে থাকবে। যেমন মে মাসে কৃষকের ঘরে ধানসহ নতুন ফসল উঠেছে ফলে খাদ্যপণ্যে স্বস্তি পেয়েছেন দেশবাসী।
এসময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমআইএস/এএ