বাজারে যেসব ফল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- কাঠাঁল, আম, আনারস, লিচু এবং জাম। এসব ফলের চাহিদা অনেক বেশি।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আনারস বড় জাতের প্রতি জোড়া ৬০ টাকা এবং মাঝারি আকারের ৪০ টাকা ও ছোট আকারের ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল বড় আকারের পিস প্রতি ২০০/২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের ১৫০/২০০ টাকা এবং ছোট আকারের ৭০/১৪০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। লিচু চায়না-২, ৩ জাতের মধ্যে বড় আকারের ১০০ লিচু ১৫০ টাকা এবং ছোট আকারের ১০০ লিচু ১০০ টাকায় মিলছে। এছাড়া জাম বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়।
জেলা শহরের কলেজ গেট ফল বাজারের কাঁঠাল বিক্রেতা মো. ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, এবছর ভালো এবং উন্নত জাতের কাঁঠাল উৎপাদন হয়েছে। বাজারে কাঁঠালের চাহিদা প্রচুর থাকায় বেচাকেনা বেশ ভালো। লাভবানও হচ্ছি।
একই বাজারের আম বিক্রেতা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে রেগুয়াই ও আম্রপালির চাহিদাই বেশি।
একই বাজারের মৌসুমী ফল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফাওজিয়া আলম বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চারা মৌসুমী ফল খেতে খুব ভালোবাসে। পুষ্টি সমৃদ্ধ এ ফল সারা বছর বাজারে পাওয়া যায় না। তাই মৌসুমী সব ফল বাচ্চাসহ বাড়ির সবাইকে খাওয়ানোর জন্য বাজারে আসা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুষ্টিগুনে ভরপুর পাহাড়ে উৎপাদিত এসব ফলের চাহিদা এখন দেশজুড়ে। রফতানি হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য সূত্রে জানা যায়, এবারের মৌসুমে উপযুক্ত আবহাওয়া থাকায় রাঙামাটিতে আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু এবং জামের ভালো ফলন হয়েছে।
রাঙামাটির ১০টি উপজেলা যেমন- রাঙামাটি সদর, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু, রাজস্থলী এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় এসব ফলের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।
মৌসুমী ফলের মধ্যে- রেগুয়াই ও আম্রপালির জাতের আম, চায়না-২, ৩, বোম্বে লিচু এবং উন্নত জাতের দেশি কাঁঠাল, আনারস এবং জাম বাজারে সহজে মিলছে বেশ।
রাঙামাটি জেলায় সাড়ে ১৮ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে লিচু, চার হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আনারস, ১০ হাজার ৮৬৩ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল এবং তিন হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাঙামাটিতে বিভিন্ন মৌসুমী ফলের প্রচুর চাষ হচ্ছে। ফলনও হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি। বিশেষ করে উন্নত ও আধুনিক চাষাবাদের কারণে পাহাড়ে যেকোনো মৌসুমে ফল পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষকরা যদি আরও একটু সচেতন হন, তাহলে এসব ফল উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কৃষিবিদ।
তবে, এ সম্ভাবনাময় কৃষি খাতকে উন্নয়নশীল করতে পার্বত্যাঞ্চলে মৌসুমী ফল সংরক্ষণ ও কৃষকদের স্বার্থে হিমাগার স্থাপন খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসআরএস