শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব জানায়, দেশে আমদানির ওপর আরোপিত ২০১৭ শুল্ক হার গড়ে ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আমাদের আশা ছিলো অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেটে শুল্কনীতি পর্যালোচনা করে আমদানি শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ নেবেন, কিন্তু তা করেননি। এর বিপরীতে গুড়োদুধ ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ দুধ আমাদের শিশু খাদ্য, অতি প্রয়োজনীয়। আমাদের প্রস্তাব থাকবে গুড়োদুধের শুল্ক প্রত্যাহারে। তিনি বলেন, দেশে কর দেওয়ার সামর্থ্য মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি, কিন্তু কর দাতার সংখ্যা ২০ লাখ। অর্থমন্ত্রী কর নেটের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এতে যেনো কেউ হয়রানির শিকার না হন।
গোলাম রহমান বলেন, অনেকেই মনে করেন সঞ্চয়পত্রের সুদহার বৃদ্ধি করলে ব্যাংকের আমানত বাড়বে, মানুষের আগ্রহ বাড়বে। তাদের কথা একেবারেই অযৌক্তিক। কারণ গত বছর সঞ্চয়পত্রের সুদ হার হ্রাস করা হলেও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি মোটেও কমেনি। আমরা মনে করি, কোনো অবসারপ্রাপ্ত ব্যাক্তির আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তখন তার সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই সঞ্চয়পত্র থেকে অর্জিত সুদের ওপর আয়কর দ্বিগুণ করে ব্যাংকিং সংকট দূর করার চিন্তা বাস্তবসম্মত হবে না। বরং ব্যাংকখাতের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, লুটপাট এবং খেলাপি ঋণের আধিক্যের কারণে নতুন নতুন সংকট তৈরি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির ভুইয়া, ক্যাবের জাতীয় কমিটির আহবায়ক ড. এম শামসুল আলম, নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
ইএআর/জেডএস