রোববার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অপ্রদর্শিত স্বর্ণকে কর দিয়ে বৈধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী স্বর্ণ কর মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এনবিআর এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তৈরি পোশাক, চামড়া ও প্লাস্টিক শিল্পের মতো যারা স্বর্ণের কাঁচামাল রফতানির উদ্দেশে আমদানি করবে তাদের বন্ড সুবিধা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা বন্ড সুবিধা পাবেন, তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণ রফতানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না। দেশে যেটা বিক্রি করবেন ট্যাক্স দিয়ে আনতে হবে। বন্ডের আওতায় কি পরিমাণ পণ্য আনা-নেওয়া করবেন সব হিসাব থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বর্ণ নীতিমালার মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবসা বিকশিত হবে। এ নীতিমালাটির উল্লেখযোগ্য দিক হলো সরকার এটিকে চাপিয়ে দেয়নি। আপনারা আমরা মিলেই নীতিমালা তৈরি করেছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে মধ্যবৃত্ত ব্যবসায়ীরা জড়িত নন। এ চোরাচালানের সঙ্গে একটি বিশেষ গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে। যারা চোরাচালান করেন, তারা এখন আর সুবিধা করতে পারবেন না বলেও তিনি মনে করেন।
সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম বা ৮ ভরি স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন। এর চেয়ে এক গ্রামও যদি বেশি হলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা নিতে বলেছি। আর এ লাইসেন্স তিন বছর পর পর নবায়নের জন্য এক লাখ টাকার নেওয়ার কথা এনবিআর থেকে বলা হয়েছে। এটিই চুড়ান্ত হবে বলে তিনি আশা করেন।
এনবিআর সদস্য কানন কুমার রায় সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাজুসের সভাপতি গঙ্গা চরন মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা প্রমুখ।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। তিন দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার (২৫ জুন)। এছাড়া সব বিভাগীয় শহরে ২৪ ও ২৫ জুন স্বর্ণ কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, গত ২৮ মে এনবিআর জারি করে একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী অঘোষিত মজুদ করা এবং নীতিমালার আওতায় ঘোষিত স্বর্ণ, স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পোলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্যের ওপর আয়কর কমিয়ে প্রতি ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য ১ হাজার টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পোলিশড ডায়মন্ডের জন্য ৬ হাজার টাকা এবং প্রতি ভরি রৌপ্যের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ডিলার স্বর্ণব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারীকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অঘোষিত মজুদ করা স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পোলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্য সম্পর্কে ঘোষণা দিয়ে কর পরিশোধ করতে হবে। এ প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসএমএকে/ওএইচ/