ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরো ৩১ হাজার গার্মেন্ট কর্মীর বেতন যাবে বিকাশে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
আরো ৩১ হাজার গার্মেন্ট কর্মীর বেতন যাবে বিকাশে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অতিথিরা

ঢাকা: নতুন করে আরো ৩১ হাজার গার্মেন্ট কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে বিকাশের মাধ্যমে। এরইমধ্যে দুই লক্ষাধিক পোশাক কর্মী বিকাশের মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন।

সোমবার (২৪ জুন) বিকাশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিকাশে বেতন পরিশোধ করার জন্য অনন্ত কোম্পানিজ, বেস্ট উল সোয়েটার্স লিমিটেড, রেনেসাঁ গ্রুপ এবং স্নোটেক্স গ্রুপ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান  বিকাশের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে।

নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) কামাল কাদীর, অনন্ত কোম্পানিজর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইনামুল হক খান, স্নোটেক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম খালেদ, রেনেসাঁ গ্রুপের ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবীর এবং বেস্ট উল সোয়েটার্স লিমিটেডের ডিরেক্টর সিয়ামুল হাসান সিয়াম।

চুক্তির আওতায় অনন্ত কোম্পানিজর ১০ হাজার, বেস্ট উল সুয়্যেটার লিমিটেডের ৬ হাজার, রেঁনেসা গ্রুপের ৫ হাজার ৫০০ এবং স্নোটেক্স গ্রুপের ১০ হাজার কর্মীর বেতন পরিশোধ করা হবে বিকাশে।

বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৭০টিরও বেশি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের দুই লক্ষাধিক কর্মী বিকাশে তাদের বেতন পাচ্ছেন। সেবাটি ক্রমেই গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করার ধারাবাহিকতায় নতুন এই বৃহৎ চারটি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানও এই সেবার অন্তর্ভুক্ত হলো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন দেওয়া সবপক্ষের জন্যই ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নগদ টাকায় কর্মীদের বেতন পরিশোধের প্রথা প্রচলিত। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। নগদ টাকায় বেতন পরিশোধ ব্যবস্থায় বেতনের দিনে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত করে। অনেক কারখানায় তাই বিকাশের মতো ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজে, কম সময়ে, কম খরচে বিকাশে বেতন পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করেছে। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ ব্যবস্থা এখন সহজ, নিরাপদ এবং স্বচ্ছ।

শুধু সহজে বেতন পাওয়াই নয়, কর্মীরা বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো, মোবাইলের এয়ারটাইম কেনা, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করা কিংবা বিভিন্ন দোকানে পেমেন্ট করাসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারছেন। এছাড়াও সারাদেশের দুই লক্ষাধিক বিকাশ এজেন্টের যেকোনো পয়েন্ট থেকে প্রয়োজনে ক্যাশ আউটও করতে পারছেন, এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রেখে স্বল্পমাত্রায় মুনাফাও অর্জন করতে পারছেন।

কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই সহজে এবং সঠিকভাবে অ্যাকাউন্টে বেতন পাওয়া ও তা ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বিকাশের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।

বিকাশের এই ডিজিটাল স্যালারি ডিজবার্সমেন্ট সেবাটি বৃহত্তর অর্থে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর আর্থিক অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করে দেশের বৃহত্তম এই মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার (সিসিও) মিজানুর রশীদ, হেড অব গর্ভনমেন্ট প্রজেক্ট অ্যান্ড বিজনেস সেলস মাসরুর চৌধুরী, রেনেসাঁ গ্রুপের কর্পোরেট এইচআর প্রধান সৈয়দা শায়লা আশরাফ, অনন্ত কোম্পানিজর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. সাজেদুল করিম, স্নোটেক্স গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক (অপারেশনস) মো. মোশাররফ হোসেন, বেস্ট উল সোয়েটার্স লিমিটেডের হেড অব কম্পালায়েন্স মো. ফারুক হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।