বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রদর্শিতর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার ভরি স্বর্ণ থাকলেও রৌপ্য ও হীরার পরিমাণ খুবই কম ছিলো। টাকার অংকে তা ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা।
তিনি বলেন, মেলার শেষ দিনে প্রচুর ভিড় বেড়েছে, অনেক ব্যবসায়ী আগ্রহ নিয়ে এসেছেন। মেলায় তাদের সার্বিক ধরনের সহায়তাও করা হয়েছে। তবে আজ যারা অপ্রদর্শিত স্বর্ণ, রৌপ্য ও হীরা প্রদর্শন করতে পারেননি, তারা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কর বিভাগের স্ব স্ব সার্কেল অফিসে নির্দিষ্ট পরিমাণে কর পরিশোধ করে অঘোষিত স্বর্ণ বৈধ বা প্রদর্শন করতে পারবেন।
বরিশাল নগরের বান্দরোডস্থ হোটেল গ্রান্ড পার্কে গত সোমবার (২৪ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া স্বর্ণ মেলা মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে সম্পন্ন হয়। শেষ সময়ে এসেও মেলা প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলী খান জসিম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফলে আমরা সোনা ব্যবসার স্বীকৃতি পাচ্ছি। সম্প্রতি সরকার আমাদের জন্য একটি নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। যার আওতায় এ মেলার আয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমাদের সহযোগিতা করছে। মেলায় ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা দিয়ে অপ্রদর্শিত সোনা বৈধ করা যাচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর অঞ্চল বরিশালের আয়োজনে এ মেলায় ৭ স্টল স্থান পেয়েছিলো। এর ৩টি স্টলে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ঘোষণাপত্র গ্রহণ করতে পেরেছেন। এছাড়া জনতা ও সোনালী ব্যাংকের দু'টি আলাদা স্টল এবং একটি হেল্প ডেস্ক ও একটি স্টলে ১২ ডিজিট টিআইএন গ্রহণ করার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো।
প্রথম দিনে বিভাগের ৬ জেলা থেকে ১১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ হাজার ভরি অপ্রদর্শিত স্বর্ণ, রৌপ্য ও হীরা প্রদর্শন করেছে। মেলার শেষ দিন মঙ্গলবার (২৫ জুন) আগ্রহীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমএস/এএটি