সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদহারের কারণে প্রতিষ্ঠান তহবিলের মাধ্যমে সঞ্চয়স্কিম ক্রমের ক্ষেত্রে সুযোগের অপব্যবহার রোধে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ: অগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা প্রকল্পের আওতায় জাতীয় সঞ্চয়স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ঢাকাসহ সারাদেশে চালু করা হয়েছে।
এই সিস্টেমের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অংকের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু সঞ্চয়পত্র বিধিমালা-১৯৭৭ এর বিধি-৫ এর উপবিধি-৫ অনুযায়ী করকমিশনারের প্রত্যয়নপত্র আগে থেকে নিয়ে আয়কর বিধিমালা-১৯৮৪ (পার্ট-২) এ সজ্ঞায়িত স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ এবং একই উপবিধি-৬ অনুযায়ী উপ-করকমিশনের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ষষ্ঠ তফসিলের প্যারাগ্রাফ-৩৪ বর্ণিত মৎস্য, হাঁস-মুরগির মাংস, পোল্ট্রি ফিড, বীজ উৎপাদন, স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত বীজ, গবাদি পশু বিপণন, কৃষিকাজ, দুগ্ধ খামার, উদ্যানপালন, ব্যাঙ চাষ, মাশরুম চাষ, রেশম চাষ, ফুল চাষে আয়ের অর্থ দিয়ে ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
সঞ্চয়পত্রে কালো টাকা এবং অতিরিক্তি বিনিয়োগ বন্ধ করতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির অনলাইন ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। এখন থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে অর্থ প্রদান এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ই-টিন সনদ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
এসই/জেডএস