শনিবার (০৬ জুলাই) রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরেন্দ্র অঞ্চলে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনে বিএমডি’র উদ্যোগে ২য় বরেন্দ্র অ্যাগ্রো-ইকো ইনোভেশন রিসার্চ প্লাটফর্ম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবিদা আঞ্জুম মিতা, ড. মনসুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অন্যদের মধ্যে ইসরাইল হোসাইন, শাজাহান কবির, ড. আবুল কালাম আজাদ ও ড. রুস্তম আলী বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান, জেলা প্রশাসক হামিদুল হকসহ কৃষি দপ্তরের কর্তকর্তারা বক্তব্য রাখেন। বিএমডি’র চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ১৯টি অঙ্গীকারের মধ্যে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতিকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গ্রামের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকার এরইমধ্যে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি আবিষ্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ধরে রাখার স্থায়ী সমাধান বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাষিরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন। খুব শিগগিরই এর একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বরেন্দ্রের সঙ্গে যারা কাজ করেন তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশ একসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। সেই বাংলাদেশ ২০১৫ সালেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
কৃষককে আর সারের জন্য মারামারি করতে হয় না। বিদ্যুতের জন্য মানুষের কোনো ভাবনা নেই। প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে, বলেন মন্ত্রী।
সেমিনারে কি-নোট ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাবি’র প্রোভিসি ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, নির্বাহী পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান, উপসচিব ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম ও ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এসএস/জেডএস