মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হারে স্বস্তি রয়েছে।
অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র, চিকিৎসাসেবা, পরিবহনসহ অন্যান্য পণ্য ও সেবার মূল্যও কমেছে। জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশে; যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
জুনে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশে; যা আগের মাসে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিলো। জুনে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে, যা আগের ছিলো ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিলো ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
গ্রামীণ জীবনেও তিন খাতে স্বস্তির ছাপ পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। জুনে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক শূন্য এক শতাংশে, যা তার আগের মাসে একই ছিল।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। চাহিদার তুলনায় সব পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। মূলত এসব কারণে মূল্যস্ফীতির হার কম। আমাদের যে পরিমাণে চাল দরকার বাজারে তার চেয়েও বেশি আছে, যে পরিমাণে ডাল দরকার তার থেকে বেশি আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
এমআইএস/এমএ