ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেড় কিমি দূরত্বের ৩ বাজারে ভিন্ন দর বেগুনের

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
দেড় কিমি দূরত্বের ৩ বাজারে ভিন্ন দর বেগুনের বেগুন

ঢাকা: গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দর। দফায় দফায় দাম বাড়ায় নিম্নআয়ের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক পণ্য। কোরবানির আগে আরও দাম বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত তিন বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে বেগুন। যা পাইকারি বাজার অপেক্ষা তিন গুন বেশি।

এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের সংকট রয়েছে তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় অতি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান, কারওয়ানবাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কারওয়ানবাজারে পাইকারি আড়তে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এ হিসাবে প্রতিকেজি বেগুনের কেজি পড়বে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা।

কারওয়ানবাজারের মাত্র তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান ও মালিবাগ বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি করতে দেখা গেছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে এসব বাজারে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও।

হাতিরপুল বাজারে প্রতিকেজি বেগুন (গোল সাদা) বিক্রি করতে দেখা যায় ৯০ টাকা কেজি দরে, বেগুন (গোল কালো) ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে। কাঁঠালবাগান বাজারে প্রতিকেজি বেগুন (গোল সাদা) ৮০ টাকা কেজি দরে, বেগুন (গোল কালো) ১০০ থেকে ১১০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

তবে মালিবাগ বাজারে কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও সেটা ছিল পাইকারি বাজার থেকে দিগুণ বেশি। এ বাজারে বেগুন (গোল কালো) ১০০ টাকা, সাদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

এসব বাজারে প্রতি পিস বাঁধা ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় যা পাইকারি বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা, জালি কুমড়া পাইকারি বাজারে ১৪ টাকা হলে এখানে ৪০ টাকা, লাউ পাইকারি বাজারে ১৮ টাকা হলেও এসব বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

হাতিরপুল বাজারের নিয়মিত ক্রেতা বিথিকা মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের বাজার দিগুণ বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের আয় না বাড়লেও নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। এটা হচ্ছে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করার কারণে। বাজারে কোনো সবজির অভাব নেই তবু দাম কমছে না।

তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারের বড় ব্যবধানের কথা বলা হলেও বাজারটির বিক্রেতারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কাঁঠালবাগান বাজারের সবজিবিক্রেতা ইকরাম বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দরে পণ্য কিনে আনি তাই বেশি দরেই বিক্রি করতে হয়। তাছাড়া বাজারে এখন পণ্যের সংকট রয়েছে।

তবে পাইকারি বাজারে বিক্রি হওয়া বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কাঁচাবাজারে দর-দাম উঠা নামা করে। আমরা যখন বাজারে ছিলাম তখন দাম ছিল বেশি, পরে পণ্য বেশি আসায় দাম কম হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।