অন্যদিকে, মাছের বাজারেও স্বস্তি মিলছে না। চড়া দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে নানা ধরনে মাছ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
কারওয়ান বাজারে আলু প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ হিসাবে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে ১৫ টাকা ৪৫ পয়সা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা পাল্লা বা ৪০ টাকা কেজি, বেগুন ২০০ টাকা পাল্লা বা ৪০ টাকা কেজি, কচুর লতি ২০০ টাকা পাল্লা, কাকরোল প্রতি ক্যারেট (২০ কেজি) ৪০০ টাকা বা ২০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ২০ টাকা, ধুন্দুল ২৫ টাকা, পেপে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি পাল্লা ৩৫০ টাকা বা ৭০ টাকা কেজি, বরবটি ১৮০ টাকা পাল্লা বা ৩৬ টাকা কেজি, পটল ৯০ টাকা পাল্লা বা ১৮ টাকা কেজি, কুমড়ার জালি ১৪ টাকা পিস, লাউ ২৬ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া (পাঁচ কেজি ওজন) ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা পিস, ফুলকপি ১৫ টাকা, কলা আট টাকা হালি, শসা (দেশি) ৫০, শসা (হাইব্রিড) ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি পাল্লা ১০০ টাকা বা ২০ টাকা কেজি, টমেটো পাল্লা ৩৮০ টাকা বা ৭৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এখানের পাইকারি মাছের বাজারে প্রতি কেজি পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা) ৪০০ টাকা, চিংড়ি (দেশি) ৪০০ টাকা, ইলিশ (৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম) হালি দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার, রুপচাঁদা (তিনটায় কেজি) ৮০০ টাকা, রুপচাঁদা ছোট ৬৫০ টাকা, কোরাল ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, কাতল ১৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা মালামাল কেনার পরই দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারভেদে দুই থেকে চার গুণ পর্যন্ত বেশি দরে বিক্রি করেন তারা। যদিও এসব ব্যবসায়ীদের অজুহাত, পাইকারি বাজারে মালের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বাড়তি রয়েছে সবকিছুর দাম।
শান্তিনগর কাঁচাবাজারে সাড়ে ১৫ টাকা দরের আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে ২৫ টাকায়, ৭০ টাকা কেজি দরের কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, ৪০ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ৪০ টাকার বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ৪০ টাকার কচুর লতি ৬০ টাকা, ২০ টাকা দরের চিচিঙ্গা-ঢেঁড়স ও করলা ৬০ টাকা, ২৫ টাকা দরের কাকরোল ও ধুন্দুল ৬০ টাকা, ১৮ টাকা কেজি দরের পটল ৪০ টাকা, ৭৬ টাকা কেজি দরের টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরের আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে, খুচরা বাজারে সব মাছ চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ বাজারে প্রতি কেজি পাবদা ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা) ৬৫০ টাকা, চিংড়ি (দেশি) এক হাজার টাকা, ইলিশ (৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম) হালি চার হাজার টাকা, রুপচাঁদা (তিনটায় কেজি) এক হাজার ২০০ টাকা, রুপচাঁদা ছোট ৯৫০ টাকা, কোরাল ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই (পাঁচ কেজির ওপর) ৫৫০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা, হাতিরপুল ও কাঠালবাগান কাঁচাবাজারে।
সবজি ও মাছের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা শান্ত বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজার থেকে আমাদের এখানে দাম বেশি পড়ে এটা আমরা স্বীকার করি। তবে সেখান থেকে মালামাল আনতে আমাদের গাড়ি ভাড়া দুই গুণ লেগে যায়। এছাড়া সেখানে আরও কিছু খরচ আছে। আমাদের এখানে কর্মচারি খরচ, দোকান ভাড়া আছে। সবমিলে খুব বেশি দামতো আমরা রাখি না।
একই সুরে কথা বলেন এ বাজারের মাছ বিক্রেতা হাসান আলীও। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনেছি দেখেই বেশি দামে মাছ বিক্রি করছি। আপনারা পাইকারি বাজারে যান। দেখে আসেন। দাম বেশি রাখছি কি-না।
তবে তাদের দাবির সঙ্গে একমত নন মাহমুদ নামে এক ক্রেতা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কারণে-অকারণে ব্যবসায়ীরা পণ্যেল দাম বাড়িয়ে দেন। তাদের অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানোর ফল ভোগ করতে হয় আমাদের।
তিনি আরও বলেন, বাজারে তো কোনো মালের অভাব নেই। তাহলে কেনো দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটিরং করা।
আরও পড়ুন>> দেড় কিমি দূরত্বের ৩ বাজারে ভিন্ন দর বেগুনের
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
ইএআর/টিএ