কোরবানির আগ মুহূর্তে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ভোজ্যতেলসহ প্যাকেটজাত মসলার দাম এখনও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
শান্তিনগর ও খিলগাঁও বাজারে প্রতি কেজি এলাচি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এলাচি বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়ে জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকায়, ১৫০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, দারুচিনি ৪৫০ টাকায়। খোলা গুঁড়া হলুদ ও মরিচ ৩০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ ও ২২০ টাকায়।
অন্যদিকে, দেশি রসুন ১৭০ টাকা, ভারতীয় ১৯০ টাকা, আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যার মধ্যে গত এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকা, ভারতীয় ১৭০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৩৫ টাকা, ভারতীয় ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
একই দামে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজারেও।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারেও চড়া দামেই বিক্রি করতে দেখা গেছে সব ধরনের মসলা। এ বাজারে এলাচি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে, জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকায়, লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়, গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকায়, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, দারুচিনি ৪৫০ টাকায়। এছাড়া খোলা গুঁড়া হলুদ ও মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আবার এ বাজারে দেশি রসুন খুচরায় ১৬০ টাকা, ভারতীয় ১৮০ টাকা, আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মসলার দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, মূল মোকামে মসলার দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বেশি।
আর ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির আগে চাহিদ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।
কারওয়ান বাজারের মসলা ব্যবসায়ী ও জব্বার স্টোরের মালিক মোশারফ বাংলানিউজকে বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও সব মসলার দাম ছিল স্বাভাবিক। এখন দাম বাড়তি। মোকামে বাড়তি দাম হওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
একই কথা বলেন খিলগাঁওয়ের বরিশাল স্টোরের মালিক ও মসলা ব্যবসায়ী কবির হোসেন। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে সব মসলার দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে দাম বেশি।
তবে এসব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত নন শান্তিনগর বাজারের ক্রেতা বিথিকা মজুমদার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতি বছর অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা কোরবানি বা অন্য কোনো উৎসব এলেই মসলার দাম বাড়িয়ে দেন।
সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বিথিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
ইএআর/টিএ