তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গার্মেন্টস মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা যেন ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই না করে সময়মতো বেতন ভাতা ও বড় বড় গার্মেন্টস শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেন।
রোববার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সভায় অর্থ, বাণিজ্য, সড়ক পরিবহন, ধর্ম, নৌ পরিবহন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, রেলপথ, বিদ্যুৎ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ফায়ার সার্ভিস, শিল্প পুলিশ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা হাইওয়ে উপ পুলিশ মহাপিদর্শকসহ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, এফবিসিসিআই কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব শিল্প-কারখানা মালিক তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঈদের আগে দিতে পারবেন না তাদের তালিকা আগেই বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজিকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে আগামী ৯ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে। তাই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ শাখা বন্ধের দিন খোলা রাখতে হবে। এছাড়া আর্থিক লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় মানিস্কট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যানজট নিরসনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে। যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঈদের আগে তিন দিন ও পরে তিন দিন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়ক বা নৌপথে কোনো যানবাহন থামাতে পারবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ সব মহাসড়কর সৃষ্ট খানা-কন্দ দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া লঞ্চ, বাস, রেল ও ফেরিঘাটে অনিয়ম ও অবৈধ সিরিয়ালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে আরো সতর্ক হতে নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাস ট্রেন ও নৌপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে না পারে সে বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবেন। সড়কপথে ফায়ার সার্ভিসের টিম থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
জিসিজি/এএ