শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীতে এনার্জিপ্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশিদ এবং ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইজেনারেশন গ্রুপের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম, এনার্জিপ্যাকের এলপিজি বিভাগের হেড অব অপারেশন নাওয়িদ রশিদ, মোটর ভেহিকল বিভাগের এজিএম ফাইয়াজ হাসান চৌধুরি, হেড অব আইটি অ্যান্ড ইআরপি ওয়াহিদ সাদাত চৌধুরি, ইজেনারেশন লিমিটেডের এসএপি টিম লিডার শামিম সারওয়ার।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশিদ বলেন, এনার্জিপ্যাক শুধু ভালো মানের এনার্জি সেভিং পণ্যের জন্য নয়, পাশাপাশি এর সেবার মানের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধ পরিকর। ইজেনারেশনের মতো একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, এসএপি সল্যুশন এনার্জিপ্যাকের কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে ও আন্তর্জাতিক বাজারে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হতে সহায়তা করবে।
ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ইজেনারেশনের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এসএপি কনসাল্টিং সেবার হাব হিসেবে তৈরি করা। গত বছর ভারতের এসএপি পার্টনার কোম্পানিগুলো এসএপি কনসাল্টিং সেবার মাধ্যমে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশ যদি সাত থেকে আট হাজার এসএপি সার্টিফায়েড দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারে, তাহলে এ সেবার মাধ্যমে আমরা এক বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করতে পারবো। এছাড়া, স্থানীয় বৃহত্তম বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর এসএপি কনসাল্টিং সেবার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশি কনসাল্ট্যান্টদের পরিশোধ করে। এ অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া, ওইসব কনসাল্ট্যান্টরা ইচ্ছা করেই স্থানীয়দের কাছে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করছে না। এক্ষেত্রে, ইজেনারেশন এ আমদানির স্থানীয় বিকল্প তৈরিতে কাজ করছে ও স্থানীয় এসএপি সার্টিফায়েড দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
এসএইচএস/একে