চাষিরা জানান, অনেক স্বপ্ন নিয়ে লাগানো মরিচ গাছগুলো গত দেড় সপ্তাহের বৃষ্টিতে মরে গেছে। ভরা মৌসুমে মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় চাষাবাদের খরচ তুলতে পারেননি তারা।
সবজি ও মরিচ চাষে বিখ্যাত লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কমলাবাড়ি এলাকার জমি সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই প্রতিবছর বিভিন্ন সবজি চাষবাদ করে চলে এ অঞ্চলের মানুষের সংসার। চলতি মৌসুমে তিনি এক লাখ টাকা খরচ করে এক একর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। প্রথম দিকে প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ৬/৭’শ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ভরা মৌসুম চলছে। এ সময় ভারী বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় মরিচ গাছ মরে যাচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচও তুলতে পারেননি তিনি। প্রায় অর্ধলাখ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে তাকে।
একই গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, প্রতি দোন (২৭ শতাংশে) জমিতে মরিচ চাষ করতে খরচ হয় ১৫/১৬ হাজার টাকা। তিনি ৪দোন জমিতে মরিচ চাষ করে মাত্র ১০/১২ হাজার টাকা পেয়েছেন। এখন বৃষ্টির কারণে গাছ মরে গেছে। বাজারে বর্তমান প্রতিমণ কাঁচা মরিচ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় লোকসান গুণতে হয়েছে তাকে। গত বছর দাম কম থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় একই জমিতে ৬০/৬৫ হাজার টাকা মুনাফা করেছেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, প্রতি বছর কাঁচা মরিচ চাষ করেন। কাঁচা মরিচ চাষে ব্যাপক সুনাম রয়েছে তার। ক্ষেত থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা তার মরিচ কিনে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্রি করেন। এ বছর টানা বৃষ্টিতে তার ক্ষেতের মরিচ গাছও মরে গেছে। লাখ টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন। গাছ মরে যাওয়ায় মরিচে তার লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় অর্ধলাখ টাকা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বিদু ভূষন রায় বাংলানিউজকে জানান, ক্ষেতে পানি না জমলেও টানা বৃষ্টিতে জমি ভেজা থাকায় মরিচ গাছ মরে যায়। টানা বৃষ্টিতে মরিচ চাষিদের কিছুটা ক্ষতি হলেও জমি রস পাওয়ায় পরবর্তী ফসল ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ওএইচ/