সোমবার (২২ জুলাই) শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এপিও’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. শান্তি কানকতানাপর্ন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের হাতে এটি তুলে দেন। শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত কর্মসূচির ফলে দেশের শিল্পখাত সুসংহত হয়েছে। মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রণীত এ মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছে। রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভিযাত্রা জোরদারে শিল্পসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। এ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য তিনি জাপানভিত্তিক এপিও’র প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে এনপিও এবং এপিও’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব বাড়বে।
এপিও’র সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ১০ বছরমেয়াদী মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বেগবান হবে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করে দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা জোরদার হবে।
তিনি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশংসা করেন। এপিও বাংলাদেশের উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বলেও উল্লেখ করেন।
এ মাস্টার প্ল্যানে বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে তা উন্নয়নের কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রম উৎপাদনশীলতা ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। এক্ষেত্রে এপিও সদস্যভুক্ত এশিয়ার ২০টি দেশের গড় প্রবৃদ্ধি হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ মাস্টার প্ল্যানে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের গুণগতমান, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত হবে।
পরিকল্পনায় ২০২১-২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক গড় উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কৃষিখাতে গড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, শিল্পখাতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/