গত অর্থবছর এ স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল এক হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ বন্দরে পরীক্ষাগার না থাকায় পণ্যের নমুনা পরীক্ষণের জন্য এখনও ঢাকায় পাঠাতে হয়। রিপোর্ট হাতে পেতে ১৫-২০ দিন কখনো মাসের অধিক সময় লেগে যায়। এতে আমদানি পণ্য বন্দরে আটকে থেকে যেমন লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের তেমনি পণ্যের মান নষ্ট হয়। এ সমস্যা নিরসনের দাবি দীর্ঘদিনের কিন্তু আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য এ পথ দিয়ে আমদানি কমেছে।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ পথে বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে ভারত-বাংলাদেশ সরকার উভয়ে আন্তরিক। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান চার দেশের বাণিজ্য চুক্তিও বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় সুফল পাচ্ছেনা। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে এতো বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় দেখা দিতে পারে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে বন্দরে নিরাপত্তা বেড়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের বেশ কিছু কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া বন্দরের নতুন জায়গা বাড়াতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। বন্দরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে। এসব কাজ সমাপ্ত হলে ব্যবসায়ীদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখানে সবসময় পণ্য থাকে প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি। জায়গার অভাবে খোলা আকাশের তলে রোদ, বৃষ্টি, কাদায় পণ্যের মান নষ্ট হয়ে যায়। অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে আমদানি বাড়ার সুযোগ নেই। এভাবে চললে রাজস্ব আদায় কম হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পরিসংখ্যান শাখার উপ-পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নির্ধারিত পরিমাণে রাজস্ব আহরণ করতে কাস্টমস কমিশনারের নেতৃত্বে সবাই আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এনটি