বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজ তেরিংক।
অনুদানের মধ্যে এক কোটি ইউরো বাজেট সহায়তায় ভূমিকা রাখবে।
বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা- দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অর্থায়নের মধ্য দিয়ে ইইউ দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাসের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট পূর্তি ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। এছাড়া ইইউ’র এ সহায়তা কর্মসূচি সরকারি আর্থিক ব্যবস্থানা ও জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা সংস্কার কৌশল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার সবসময় সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ইইউ’র দীর্ঘ মেয়াদী সমর্থনকে স্বীকার করে। আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধপরিকর।
ইআরডি সচিব বলেন, সঠিক সময় স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সব প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সবসময় মনিটরিং করি। ইইউ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের পাশে আছে। সবচেয়ে বড় কথা ইইউ আমাদের অনুদান দিয়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এসময় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজ তেরিংক বলেন, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তায় সহযোগিতার মৌলিক ক্ষেত্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে ইইউ। ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ খাতগুলো অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত। ইইউ’র সহায়তা এক্ষেত্রে সিস্টেম শক্তিশালীকরণ ও নীতি উন্নয়নের মূল উপাদানগুলোকে মোকাবিলা করবে।
এই সহায়তার মূল লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ, অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা জোরদারকরণ ও সামাজিক নিরাপত্তার উন্নয়ন।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং নতুন সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়টিও অনেকটা এ প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলার ওপর নির্ভর করে। সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক নিরাপত্তা এক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমআইএস/টিএ