ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী ১৯৮৪ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে তার ব্যাংকিং জীবনের সূচনা করেন। ২০০০ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক্সিম ব্যাংকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক ও প্রধান কার্যালয়ের ফরেন এক্সচেঞ্জ, ইনভেস্টমেন্ট, মানবসম্পদ বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০০৮ সালে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ২০১১ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। সবশেষ ২০১২ সালের ২৫ জুলাই এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রি ও লন্ডনের দ্য ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স থেকে ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা লাভ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সাফল্যে ভাস্বর ড. হায়দার আলী মিয়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন অব বিজনেস তাকে ‘বিশ্ব নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব’ ঘোষণা করে। একই বছরে তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক এসিকিউ-ফাইভ এর পক্ষ থেকে ‘গেমচেঞ্জার অব দ্য ইয়ার-২০১৫’ এবং সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের পক্ষ থেকে ‘ইসলামী ব্যাংকিং’ পদক লাভ করেন।
তিনি ২০১৪ সালে সিএমও এশিয়া, সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে ‘মোস্ট ট্যালেন্টেড ইসলামিক ব্যাংকিং প্রফেশনাল (সিইও), সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর কোয়ালিটি রিসার্চের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট কোয়ালিটি লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার পক্ষ থেকে ‘বর্ষসেরা ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ ছাড়াও মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা সংসদ স্বর্ণপদক অন্যতম।
ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২ নম্বর সেক্টরে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং তার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে তিনি সফেন এর পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সান্মাননায় ভূষিত হন।
সুলেখক ড. মিয়া ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। তিনি দেশের শীর্ষ দৈনিকগুলোতে ব্যাংকিং বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতির উপর কয়েকটি মূল্যবান বই লিখেছেন এবং তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংকের প্রশিক্ষণ একাডেমিতে গেস্ট স্পিকার হিসেবে নিয়মিত বক্তব্য দেন।
তিনি ব্যাংকিং বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশ নিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, হংকং এবং ভারত ছাড়াও পর্তুগাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, কাতার, দুবাই ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এএ