অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এসব মেশিন এবং সামগ্রী কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৩১৫ কোটি ৮৮ লাখ ২১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, প্রথমেই আমরা ১০ হাজার ‘এফএফডি’ মেশিন কিনবো। প্রতিটি ৩২ হাজার টাকা হারে ১০ হাজার মেশিন সরবরাহ করবে চায়নার প্রতিষ্ঠান চীনা কোম্পানি এসজেডজেডটি। দুই বছরে আমাদের প্রায় দুই লাখ মেশিন প্রয়োজন হবে। ধীরে ধীর আমরা এসব মেশিন কিনবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মেশিনগুলো আমরা ব্যবসায়ীদের দেবো। মেশিনের মূল্য ৩২ হাজার টাকা ব্যবসায়ীদের পরিশোধ করতে হবে। দাম পরিশোধে দীর্ঘসময় দেওয়া হবে, যাতে তারা কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারেন।
মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসজেডজেডটি-এর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের অভিজ্ঞতা আছে। সে জন্যই ১০ হাজার দিলাম। না হলে একবারে এক লাখ দিতাম। ১০ হাজার যে দেবে এজন্য সিকিউরিটি দিতে হবে। পাশাপাশি আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে এ মেশিন সরবরাহের কাজ দেবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবছর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে ভ্যাট আইন-২০১২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে যে, ভ্যাট আদায়ের জন্য এখনো কোনো দোকানে মেশিন নেই। এক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এ কাজটা আগেও করতে পারছিলাম না, কারণ এটা অর্থ বিলে পাস হতে হতো। পাস না করে এটা করা যায় না। অবশেষ চলতি বাজেটে এটা পাস হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থবিল পাস হওয়ায় অবশেষে আজ এক লাখ মেশিন কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতগুলো মেশিন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হলে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায় তাহলে আমাদের পুরো প্রক্রিয়া সমস্যায় পড়বে। তাই অল্প অল্প করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনা হবে।
যারাই দেবে মেইন সার্ভার মেইনটেইন করবে এনবিআর, এক জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে কাজটি করা হবে।
শেয়ার বাজার নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ার বাজার নিয়ে আমাদের কন্ট্রোলিং এজেন্সি আছে, ওখানে যান আলোচনা করেন।
এছাড়াও আরো পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস