ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুরান ঢাকার গুদাম সরাতে প্রকল্প অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
পুরান ঢাকার গুদাম সরাতে প্রকল্প অনুমোদন সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সভা

ঢাকা: চুড়িহাট্টা দুর্ঘটনার পর রাজধানীর পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম সরাতে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ‘অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


 
তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় একটি দুর্ঘটনা হয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছে এগুলো সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গুদাম তৈরি করতে হবে। গুদাম তৈরি করার জন্য এ প্রকল্পটি জরুরিভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে একনেকে অনুমোদন পাই।
 
‘সেখানে বলা হয়েছে যে, দ্রুত করার জন্য কিছুটা আইন-কানুনে শিথিলতা এনেও যাতে দ্রুত করা যায়। এ গুদামগুলোর নিয়ম হলো আমাদেরকে ওপেন টেন্ডার করতে হয়। ওপেন টেন্ডার করতে হলে অনেক সময় লেগে যাবে। কিছু টেকনিক্যাল ডিফিক্যাল্ট আছে আমাদের। সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার জন্য অনুমোদন পেয়েছি। ’
 
সভায় পিপিপি’র ভিত্তিতে চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৫০০ শয্যার মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য বেসরকারি অংশীদার হিসেবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং গুলশান সেন্টার পয়েন্টের মধ্যে চুক্তির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়াও পিপিপি’র ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘বে টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণের জন্য নীতিগত অনুমোদন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক বাস্তবায়নাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট’ শীর্ষক প্রকল্পের পিপিপি মডেলের পরিবর্তে সরাসরি পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে জমি বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
অফশোর-অনশোর
প্রস্তাবিত অনশোর মডেল পিএসসি ২০১৯ এবং অফশোর মডেল পিএসসি ২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমারা যে সমুদ্রসীমা পেলাম তা এখনো ব্যবহার করতে পারিনি। পানির নিচে যে সম্পদগুলো আছে সেগুলো আরো স্ট্যাডি করতে হবে। এজন্য বিদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। অনশোর এবং অফশোর মিক্স করে ফেলেছিলাম, অনশোরে খরচ কম এবং অফশোরে খরচ বেশি এবং প্রাইসও দেবে বেশি।
 
তিনি বলেন, এখন প্রাইস অনশোরটা ৬ দশমিক ৫ এবং অফশোর ৭ দশমিক ২৬ সেন্ট করেছি। এখন যে বাজার দর এশিয়ার দরে নির্ধারিত হবে। এখন থেকে ২০ বছর পর পেলে সে সময়ের দামে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।