চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জ উপজেলার খামারিদের সঙ্গে কথা বলে ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের তালিকাভুক্ত খামারি রয়েছেন দুই হাজার ৩৫৮ জন। বছরজুড়ে এসব খামারি ষাঁড়, বলদ, গাভী, ছাগল ও বেড়া হৃষ্টপুষ্ট করার চেষ্টা করেন।
সদরের একটি খামারের দুইজন শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, তারা সিরাজগঞ্জ থেকে এসে চাঁদপুরে গরু লালন-পালনের কাজ করছেন গত ৩ বছর। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাষ, খইল, ভুসি ও খড় খাওয়ান। আমদানিকৃত পশু বাজারে আসলে আমাদের লোকসানে পড়তে হয়। তাদের জেলার কয়েকশ’ শ্রমিক চাঁদপুরের খামারগুলোতে কর্মংস্থান হয়েছে। মালিকদের লোকসান হলে তাদের কর্মসংস্থানও হ্রাস পাবে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা গ্রামের মির্জা ডেইরি ফার্মের মালিক জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল বাংলানিউজকে বলেন, ২০০২ সালে ২টি গাভী দিয়ে তিনি ডেইরি ফার্ম শুরু করেন। এরপর গত কয়েক বছর পশু মোটাতাজা করে আসছেন। কিন্তু কোরবানির হাটে পশু বিক্রি করতে গেলে বিদেশি পশুর কারণে তাদের লোকসানে পড়তে হয়। বিদেশি পশু আমদানি বন্ধ করা প্রয়োজন। দেশীয় ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়ে সারা বছরের মাংসের ও কোবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জুলিফকার আলী বাংলানিউজকে বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫শ’ খামারি এ বছর ৬ হাজার পশু মোটাতাজা করেছেন। তারা কোনোভাবে যেন পশুর দেহে ক্ষতিকর গ্রোথ হরমোন প্রবেশ করাতে না পারে, সে জন্য আমাদের সব লোকবল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এই বিষয়ে আমরা খামারিদের নিয়ে বৈঠকও করেছি।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বখতিয়ার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দেশীয় খামারশিল্প বাঁচিয়ে রাখতে আমদানিকৃত পশু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে গবাদি পশু পালনের খামারগুলো আরো সমৃদ্ধ হবে। জেলার প্রায় আড়াই হাজার খামারিদের আমরা প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে আসছি। আসন্ন কোরবানির জন্য জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার পশু এখন পর্যন্ত প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির আগ পর্যন্ত সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১, জুলাই ২৫, ২০১৯
এমএমইউ