তিনি বলেন, দেশের বাণিজ্য উন্নয়নে মেধার বিকল্প নেই। বাণিজ্যের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ’ এর বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই বলেন বাণিজ্যের জন্য আমরা দ্বার খুলে দিবো। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশ সব পদক্ষেপ নেবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলোকে ডিজিটাল করা হয়েছে। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) পেতে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই নিজেদের সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন অনলাইনে করা হচ্ছে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির কাজ এখন অনলাইনেই করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন অতি সহজেই ব্যবসা করা যায়। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজিকরণে অনেক এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে। বর্তমান সরকারকে বলা হয় ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য সরকার সবকিছুই করবে। গতবছর বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এটা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগামী ২০২১ সালে দেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশে এখন কোনো খাদ্য সংকট নেই। সরকার এরই মধ্যে ২ লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের রিসার্স ডিরেক্টর ড. এম এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের(এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, ইন্টারন্যাশনাল অরর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এর চিফ অফ মিশন জিওরজি গিগাউরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/