শনিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর লালবাগের পোস্তা এলাকায় চামড়া ব্যবসায়ী, লবণ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জিনাত সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালে সারাদেশে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়াসহ মোট এক কোটি পাঁচ লাখ পশু কোরবানি করা হয়েছিল।
লালবাগের পোস্তা এলাকার পাইকারি লবণ বিক্রেতা জামিল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ আছে। দামও বর্তমানে কম। ২০১৮ সালে বস্তা প্রতি এক হাজার টাকা দরে লবণ বিক্রি করেছি। এবছর ৭৪ কেজির বস্তা ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঈদের দিন থেকে হয়তো দাম সামান্য কিছু বাড়তে পারে।
কক্সবাজার জেলার লবণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সালমা সল্টের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবছর বৃষ্টি না থাকায় প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন হয়েছে। ফলে দামও অনেক কম। চামড়ায় দেওয়া লবণ বর্তমানে বস্তা প্রতি ৬৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম। তবে কোরবানির ঈদে কি হয় তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ মজুদ আছে। দামও স্থিতিশীল রয়েছে। দাম আর বাড়বে বলেও মনে হচ্ছে না।
এবছর আবহাওয়া লবণ উৎপাদনের অনুকূলে থাকায় ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে লবণের বাজারমূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে। আসন্ন ঈদে কি হবে, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও খুব একটা হেরফের হবে না বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘তবে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে লবণকে ঘিরে বাজারে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেট বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও অটো ক্রাইসিস তৈরি করে লবণের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। ’ এমন আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
আরকেআর/এসএ