বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনমাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৩৭ কোটি ডলার, জুলাই শেষে তা ২৩ কোটি ডলার বেড়ে ১৬০ কোটি ডলার হয়েছে। ঈদের আগে প্রবাসীরা আত্মীয়-স্বজনের কাছে অর্থ একটু বেশিই পাঠিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৯ কোটি ডলার বেশি।
মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের এই পরিমাণ ছিল একক মাস হিসেবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। পরের মাস জুনে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে এসেছিল ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ। তবে জুলাইতে সেটি আবার বেড়ে হয়েছে ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ। আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। এই হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি, হুন্ডি প্রতিরোধসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বাড়ছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের শুরু থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সরকার বৈধপথে দেশে প্রবাসী আয় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। তার আলোকে চলতি অর্থবছর থেকে ১ হাজার ডলার বা তার বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ১ জুলাই থেকেই এটি কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসই/জেডএস