বুধবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এতোদিন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) পণ্য কিনতে হলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হতো।
তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব জিনিস যেমন- পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম যেকোনো সময় বেড়ে যেতে পারে। হাঠাৎ করে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে সেটা টিসিবি যেখানেই পাক সেখান থেকেই কিনে চাহিদা মেটাতে পারবে। অনেক সময় বন্যার কারণে কিছু পণ্যের সরবরাহ কমে যায়। তখন এসব পণ্য হয় আমদানি করতে হয় বা অন্যভাবে সংগ্রহ করতে হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যেন চাহিদা মেটানো যায়, সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত কোনো আইন পরিবর্তন করতে হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। এতোদিন শুধু চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা আর খেজুর নায্যমূল্যে বিক্রি করতো সংস্থাটি। তাও এসব পণ্য সংগ্রহে কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। কেনাকাটায় কোনো আর্থিক সীমাবদ্ধতা নেই। তবে এখন থেকে এর জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
এদিকে গত ২৮ জুলাই থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডাল বিক্রি বিক্রি শুরু করে টিসিবি। কিন্তু অনুমতি না থাকায় সংস্থাটি পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এখন এসব পণ্য বিক্রিতেও আর সমস্যা থাকছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
জিসিজি/এএ