ফলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার বসলেও ভিড় ছিল কম। কোরবানি শেষে সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ মাংসের বাজার বসে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিন্দুর মোড়, দড়িখড়বোনা, লক্ষ্মীপুর, হড়গ্রাম, সরকারি মহিলা কলেজের মোড়সহ মহানগরের অধিকাংশ মোড়ে বসেছিল কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার। সেখানে আবার এক শ্রেণির ক্রেতা তাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিয়ে মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেন এবং চড়া দামে বিক্রি করেন। যেখানে গত বছর কোরবানির মৌসুমেও ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে তারা সংগৃহিত মাংস বিক্রি করেছেন ক্রেতাদের কাছে। এবার গরুর মাংসের দাম হাঁকাচ্ছেন ৫২০ টাকা আর খাসির মাংস ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা।
মহানগরের শিরোইল কলোনি এলাকার সাজিদুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি প্রায় ৪০ কেজি মাংস কেনাবেচা করেছেন। এতে তার ভালোই লাভ হয়েছে। পাড়া-মহল্লা থেকে ভিক্ষুক ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ যেই মাংস সংগ্রহ করেছেন তা তারা কিনে নিয়েছেন। পরে সেই মাংস আবার ভ্যানে করে বিক্রি করেছেন।
সাজিদুল ইসলাম আরও জানান, মহানগরের নতুন এসে যারা অর্থের অভাবে অথবা সময়ের অভাবে কোরবানি দিতে পারেননি এবং মহানগরের বড় হোটেল মালিকরাই এ মাংসের আসল ক্রেতা। তারা পারিবারিক প্রয়োজনে ২/৩ কেজি করে মাংস কিনে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন। আর হোটেল ব্যবসায়ীরা কিনে মজুদ করেন।
মহানগরের বড় বড় হোটেল মালিকরা বেশি বেশি করে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস কিনে নিয়ে যান। বছরের ২ থেকে ৩ মাস এ মাংস দিয়েই হোটেল চালান। এতে লাভও হয় বেশি। তাই খুচরা বিক্রি না হলেও তাদের ক্ষতি হয় না। কম দামে কিনে হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন সংগ্রহ করা মাংস ব্যবসায়ীরা।
তবে সুলতানাবাদ এলাকার সাজ্জাদ আলী বলেন, প্রতি বছর এভাবে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ আর কিনতে আসবেন না। ঈদের একদিন আগে চাঁদ রাতেই বাজার থেকেই মানসম্পন্ন মাংস কিনবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/