শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজার ও মালিবাগ রেলগেট কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব বাজারে খুচরা প্রতিকেজি টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, কলার হালি ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব ধরনের শাকের দাম। প্রতি আঁটি লালশাক ৭ থেকে ১০ টাকা, মুলা ৮ থেকে ১০ টাকা, লাউ শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কুমড়া শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২৫ টাকা, কলমি শাক ৭ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা কাঁচামাল বিক্রেতা মানিক বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামালের বাজার প্রতিদিনই ওঠা-নামা করে। দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পণ্যের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
একই কথা বলেন মালিবাগ রেলগেট বাজারের খুচরা শাক বিক্রেতা হামিদুল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে মালামাল বেশি এলে দাম কমে, কম থাকলে দাম বাড়ে। এখন পাইকারি বাজারে মালের দাম কমায় খুচরা বাজারেও দাম কমেছে।
শরিফ নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, কারওয়ান বাজারের পরিবেশ আগের মতো নেই। সব বাজারে মূল্য তালিকা টাঙানো হয়েছে, পণ্যের দামও কমেছে। আমি এ পরিবেশের দীর্ঘায়ু কামনা করি!
এসব বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ১১শ’ টাকা, ৯০০ গ্রাম ১ হাজার টাকা, ৭০০ গ্রাম ৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছের কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিকেজি বাইন (বড়) ৪০০ টাকা, আকারভেদে প্রতিকেজি কাতলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, কাচকি ২৪০ টাকা, চিংড়ি (হরিনা) ৪০০ টাকা, বাগদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গলদা ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কই মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে, বাজারে আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা। দেশি রসুন প্রতিকেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় ১৯০ টাকা থেকে ২০০, আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুরগির দাম নিম্নমুখী হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। এসব বাজারে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৫০০ গ্রাম প্রতি হালি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতিকেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, লেয়ার (সাদা) ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, লেয়ার (লাল) ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দামও কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। এসব বাজারে মিনিকেট চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, আটাশ চাল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, চিনিগুঁড়া ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, কাটারিভোগ ১০০ টাকা, আতপ কাটারি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, নাজির ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পোলাও ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের কামাল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম কিছুটা কমেছে। নতুন চাল বাজারে এলে দাম আরও কমতে পারে।
ডাল ও ভোজ্য তেলের বাজারে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে, কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হতো ১০৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। দাম কমে প্রতি ডজন হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
ইএআর/একে