সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধি জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (ওএভি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
মন্ত্রী বলেন, তাদের (ওএভি) প্রস্তাব তারা থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বিএমডব্লিউ অথবা মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের গাড়ির অ্যাসেম্বল করতে চাইছে। থাইল্যান্ডে তারা যেভাবে অ্যাসেম্বল করে উইথ প্রোগ্রেসিভ ম্যানুফ্যাকচারিং, বাংলাদেশেও অ্যাসেম্বল করবে উইথ প্রোগ্রেসিভ ম্যানুফ্যাকচারিং পদ্ধতিতে। সুতরাং এটা একটা ভালো প্রস্তাব। আমি মনে করি, এরকম ব্যয়বহুল গাড়ি আর ইমপোর্ট করতে হবে না। কম খরচে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারবো। কিছু পার্টস বিদেশ থেকে আসবে, কিছু পার্টস বাংলাদেশে তৈরি হবে।
কোন জায়গায় অ্যাসেম্বল করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা (ওএভি) বিজনেস ধারণা নিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মার্চে জার্মানি সফর করবেন, সেখানে যাওয়ার পর এগুলো চূড়ান্ত হবে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলাপ হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পাওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানিরা কাজ করছেন আগে থেকেই। আমাদের যে টেলিফোন শিল্প সংস্থা বিল্ড বাই সিমেন্স, আমাদের খুলনায় যে ক্যাবল ফ্যাক্টরি আছে, এটাও সিমেন্স তৈরি করেছে। সুতরাং জার্মানির অবস্থান অনেক আগে থেকেই দেশে। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
বড় করে পাট ফ্যাক্টরিতে জার্মানিরা আসতে চায় জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, তারা এ মুহূর্তে প্রস্তাব দিচ্ছে, তারা আমাদের পাট ফ্যাক্টরি ব্যবহার করতে চায় বড় আকারে। পাট ফ্যাক্টরি আমাদের জন্য ম্যানেজ করা খুব কঠিন ছিল। এটা অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। আমরা জার্মানিকে স্বাগত জানিয়েছি যে তোমরা এখানে আসো। তারা স্বল্প পরিসরে পাট নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছে। এখন তারা বড় স্কেলে কাজ করতে চায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পাট নিয়ে জার্মানি বহুমুখী কাজ করে। মার্সিডিজ গাড়ির ভেতরের অনেক কিছু পাট থেকে তৈরি হয়। জার্মানির সব গাড়ির অনেক কম্পোনেন্ট কিন্তু পাটের।
ইউরোপে জিএসপি সুবাধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের সব চেয়ে ভালো প্রস্তাব হলো তারা আমাদের কাছে প্রমিজ করেছে, আমাদের জিএসপি যেনো না চলে যায়। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যেনো আমাদের জিএসপি সুবিধা থাকে। জিএসপি সুবিধা শুধু জার্মানিতে নয়, পুরো ইউরোপে থাকবে। এছাড়া জার্মানি তো ইউরোপকে লিড দেয়।
ব্যাংকিং খাত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের টাকা যাবে কোথায়? টাকা তো ব্যাংকেই থাকবে। সরকার কী কোথাও টাকা রাখতে পারবে? সুতরাং একটা কো-অর্ডিনেট ওয়েতে টাকাগুলো ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআইএস/টিএ