শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম সূত্রে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশি। সেখানে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
সম্মেলনে অংশ নেবেন। বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় এই আয়োজনে মূল বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ২০ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিনিয়োগ এজেন্সি (আইপিএ) হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ)। এগুলো প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাদার ও উদ্যোক্তাভিত্তিক বেসরকারী খাতের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। প্রায় ২০টি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সামনে উপস্থাপন করা হবে। বিনিয়োগকারীরা সালমান এফ রহমান ও সফররত বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নিজেদের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিসিসিভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান উৎস হতে পারে। দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি গঠনে সহায়তা করতে এ বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) গ্রহণে বাংলাদেশ সব সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি স্বাগত জানায়। গত বছরের ৬৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে তিন দশমিক ৬১ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে বিনিয়োগ। আমরা সব সময় চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগ দেখে আসছি। এখন আমরা বিশ্বাস করি জিসিসিভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়, অপারেশন এবং উচ্চতর রিটার্নের সুবিধা নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সদস্য ও বিনিয়োগ পরামর্শদাতা শেখ আব্দুল কারিম বলেন, একটি বেসরকারি পরামর্শক দল হিসেবে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশি প্রকল্প অধিকারী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। এটা সরকারি খাতে বিভিন্ন সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও দূরত্ব দূর করে সব ধরনের বিনিয়োগ উদ্যোগকে সহায়তা দিতে চায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনদিনের সফরে গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে একটি বন্দর স্থাপন, শিল্প উদ্যান, সরবরাহ ও একটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলেন। এছাড়া তখন আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবাইয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে এসব নথির স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
জিসিজি/টিএ