বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর স্টেডিয়ামের চার নম্বর গেটের সামনে গিয়ে দেখা যায় ট্রাক ঘিরে মানুষের ভিড়।
সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর প্রেসক্লাব ছাড়া নতুন চারটি স্থানে দ্বিতীয় দিনের মতো ৪৫ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিতীয় দিনও রাজধানীর পাঁচটি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রেসক্লাব ছাড়া নতুন স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মিরপুর স্টেডিয়ামের চার নম্বর গেটের সামনে, মধ্য বাড্ডা, আব্দুল্লাহপুর মোড় ও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে। দাম না কমা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সোর্সিং চলছে, দু’একদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও ট্রাক সেল বাড়ানো হবে।
এদিকে, সকাল থেকেই ক্রেতাদের পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে মিরপুর স্টেডিয়ামের চার নম্বর গেটে। প্রতি ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। এক একটি ট্রাকে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মিরপুর স্টেডিয়ামের চার নম্বর গেটে অবস্থানরত টিসিবির ডিলার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে আমরা এখানে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। প্রতি ক্রেতা দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। আমাদের এক হাজার কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে।
পেঁয়াজ কিনতে এসে সাইফুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের উদ্যোগ ভালো। তবে এত কমসংখ্যক ডিলার ও পণ্য দিয়ে হবে না। এত বড় ঘনবসতি এলাকায় এক হাজার কেজি পেঁয়াজ কিছুই না।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে খোলাবাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন ও সুদের হার কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠিও পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বন্দরে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করা ও নির্বিঘ্ন পরিবহন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় গত শুক্রবার পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য তিনগুণ করে ভারত সরকার। এর পরদিনই ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।
অপরদিকে, বন্দরে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এলসি ভ্যালু বেড়ে ৮৫২ ডলার নির্ধারিত হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বন্দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৭৩ টাকা করে। এলসি ভ্যালুর প্রভাবে গত শনিবার ১৫টি, রোববার ৩৪টি পেঁয়াজভর্তি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৩৬-৪০ টাকা থেকে ৫৫-৬০ টাকা উঠে যায়। তবে রোববার ভারত থেকে ৮৬টি পেঁয়াজের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করায় সোমবার পেয়াঁজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এসএমএকে/এএ