বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে প্রকল্প পরিচালক মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণে সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড়শিমুল ও পঞ্চসোনা মৌজায় ২২.৭৮ একর জমির উপর ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইপিসিভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের জংনান ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড প্রকল্পের কাজ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটিডের নিজস্ব ৩.৭৫ একর জমির পাশেই বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ ১২.৪৩ একর ও জেলা প্রশাসক ৬.৬০ একর বন্দোবস্ত দিয়েছেন।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী (প্লান্ট ম্যানেজার) হারুনর রশিদ বলেন, ২০১২ সালের অক্টোবরে ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড। পরবর্তীতে সেটি ২২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং ৪১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চতুর্থ ইউনিট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে এ কেন্দ্রটি থেকে ১০৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণ মত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই নিজস্ব অর্থায়নে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এজন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে একজন প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এসএইচ