সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক রুপি সমান এক দশমিক ১৮ টাকা। মানে এক রুপি কিনতে হবে এক দশমিক ১৮ টাকা দিয়ে।
এ বিষয়ে ঢাকার বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী। এ কারণে রুপির বিপরীতেও টাকা শক্তিশালী। এক সময় দেশের বাজারে ডলারের দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। যে কারণে রুপির বিপরীতে টাকা দুর্বল ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার ১০০ টাকা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় ৮২ দশমিক ৫০ থেকে ৮৩ রুপি। অথচ জুলাইয়ের শেষের দিকেও ১০০ টাকা দিয়ে পাওয়া যেত ৮৫ দশমিক ৫০ রুপি। প্রায় ২০ দিনের ব্যবধানে টাকার বিপরীতে রুপির দর কিছুটা বেড়েছে।
ভারতে ১০০ রুপি কিনতে এখনও ব্যয় হচ্ছে ১১৮ দশমিক ২৬ টাকা। তবে খোলা বাজার থেকে ১০০ রুপি কিনতে হচ্ছে ১২১ দশমিক ২১ টাকায়। আর এক ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ৭১ দশমিক ৫০ রুপি। যেখানে দেশের বাজারে এক ডলার কিনতে ব্যয় হচ্ছে ৮৪ দশমিক ৫০ টাকা।
বেনাপোলের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট মেসার্স যমুনা ট্রেডিংয়ের প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় একমাস ধরে দেশের বাজারে ডলারের দাম অপরিবর্তিত থাকার কারণে রুপির দামও উঠা-নামা করছে না। আমাদের দেশে ডলারের দাম অপরিবর্তিত থাকলে রুপিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় মুদ্রার দাম কমলে বাংলাদেশ এক অর্থে লাভবান হবে। আরেক অর্থে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। লাভবান হবে এই অর্থে, ভারত থেকে আমদানি ব্যয় কমে যাবে। ক্ষতি হবে আরেকভাবে। সেটা হলো- বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি কমে যাবে। তবে টাকার বিপরীতে রুপির দর কমলে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চিকিৎসাসেবা নিতে বা ভ্রমণে যায়, তাদের জন্য লাভ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকেই টাকার বিপরীতে রুপির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম অপরিবর্তিত থাকায় এ স্থিতাবস্থা।
আরও পড়ুন>> রুপির দরপতন অব্যাহত, ডলারের বিপরীতে ৭২
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসই/টিএ