একই সঙ্গে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। বিএফআইইউ-এর প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অর্থ পাচার ও সন্দেজনক লেনদেন প্রতিরোধে ক্যাসিনো কারবারিদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখতে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, খালেদ মাহমুদ, জিকে শামীমের স্ত্রী, সন্তান ও মা বাবার ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার পাশাপাশি ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সব তথ্য বিএফআইইউকে জানাতে হবে।
ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পরে বিএফআইইউ অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে কীভাবে লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে বলে জানান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হবে। সন্দেহজনক লেনদেন প্রমাণিত হলে হিসাবগুলো জব্দ করা হবে।
সম্প্রতি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ও জি কে শামীমকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ দুই নেতার গ্রেফতারের পর রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জিকে শামীমের ব্যাংক হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তোলার জন্য কয়েকটি চেক জমা হলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়। পরে আটকে দেওয়া হয় এসব চেক।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববারই একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসই/এমএ