মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হোটেল কন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ টু ইম্প্রুভ রোড সেফটি’ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যাদের নাম আসছে তাদের অ্যাকাউন্ট সার্চ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চান। এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা অর্থের উৎস দেখাতে পারলে ফেরত দেওয়া হবে, নয়তো জব্দ করা হবে, বলেন অর্থমন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সরাসরি টাকা নিতে পারে না। এর একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি হলো যাদের নাম আসবে প্রথমে তাদের নোটিশ দেওয়া হবে যে তোমরা এতো টাকা কোথা থেকে পেয়েছ। যদি টাকার উৎসের পূর্ণাঙ্গ উত্তর না দিতে পারে অন্য ব্যবস্থা, আর উত্তর দিতে পারে তবে আইন অনুযায়ী কর দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিলো একটি সুন্দর সমাজ গঠনের বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী দেশে অপরাধ, দুঃশাসন দেখতে চান না। আমরা এগুলো চলতে দিতে পারি না। অপরাধীদের প্রচলিত আইনে সাজা হবে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশবাসীর উচিত সরকারকে সাপোর্ট করা।
তিনি আরো বলেন, দেশে ক্যাসিনো হতে পারে না। জুয়া আমাদের জন্য অবৈধ, আইন করে এগুলোর বৈধতা দিতে পারি না। ক্যাসিনো বাংলাদেশের জন্য অবৈধ, এটা চলতে পারে না। ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিভাবে দেশে এলো বিষয়গুলো দেখবে এনবিআর।
প্রশাসন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে (হোটেল কন্টিনেন্টাল) মিটিং করলাম এটাও প্রশাসন জানে। প্রশাসন জানে না এমন কোনো কাজ বাংলাদেশে হতে পারে না। এসব ঘটনা প্রশাসনের জানা উচিত ছিল। এগুলোর দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না। তাই এসব ঘটনায় প্রশাসনের কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস