এ অবস্থায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। আর পণ্যটি কিনতে গিয়ে এর ঝাঁজে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের দাম কেজিতে একশর ঘর পার হয়। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মিয়ানমার ও তুরস্কের পেঁয়াজ প্রবেশ করলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সকালে ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯২ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খুচরায় তা বাজারভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টিসিবির ট্রাক সেলে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি অব্যাহত থাকবে পেঁয়াজ। আমদানিকারকরা বলছেন, দু’একদিনের মধ্যেই বাজারের অস্থিরতা কেটে যাবে। এ সময়ের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন আমদানি করা পেঁয়াজ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ শ্যামবাজারে না থাকলেও কারওয়ান বাজারে পাইকারি ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর কাঁচাবাজারে খুচরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব বাজারে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, মূলত সংকটের কারণে এমনটি হয়েছে। আবার ভারতের আমদানি বন্ধ হওয়া আরও একটি কারণ। এ অবস্থার উন্নতি হবে চলতি সপ্তাহর দু’একদিনের মধ্যেই। কারণ মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে আসা পেঁয়াজ এসময়ের মধ্যে বাজারে আসার কথা রয়েছে।
তবে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে টিসিবির ট্রাক সেল। সেখানে ক্রেতার দীর্ঘ লাইন ধরে পেঁয়াজ কিনছেন। একজন ক্রেতা ৪৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।
এ বিষয়ে টিসিবির ডিলার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারিভাবে ট্রাক সেলে বিক্রি চলছে। বাজার পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
ইএআর/জেডএস