সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ দেওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, আমি চাই আপনারা বৈধপথে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বিনিয়োগ করুন।
তিনি বলেন, আমি সব সময় বলি আমাদের আয়ের সবখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রবাসী আয় সবসময় ইতিবাচক থাকবে। আমরা এতদিন রেমিট্যান্সে যথাযথ গুরুত্ব দিতে পারিনি। তবে চলতি বছর আমরা ২০ বিলিয়ন ডলার আনার চেষ্টা করছি।
মুস্তফা কামাল প্রবাসীদের উদ্দেশে এও বলেন, আপনাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যেতে হবে। শ্রম দিয়ে যাতে উপযুক্ত বেতন ভাতা পান সে চেষ্টা করতে হবে। না হলে বেতন-ভাতা কম পাবেন। মন খারাপ হবে। কারণ প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা একাধিক কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদেশ যান। তারা গাড়ি চালানোর কাজ না পেলে এয়ারকন্ডিশন মেরামতের কাজ করেন। কখনও বেকার থাকেন না। আমাদের শ্রমিকরা একটিমাত্র কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যান। তারপর থাকে না ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি কাজ করেন। কারণ দেশে স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা ভাই-বোনদের নিয়ে তাদের বসবাস।
তিনি বলেন, দেশের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা আরও নিবিড় করতে হবে। কারণ পৃথিবীতে লম্বা সময় কাজ করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ ও ভারত। তাই দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে আরেকটু সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আপনারাই আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও সমাপনী বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান।
প্রবাসীদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক ডা. আফতাব হোসেন ও ইমরুল হোসেন ভূঁইয়া।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে অনুপ্রাণিত-সম্মানিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগের উদ্যোগে এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৬টি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসই/টিএ