বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটালাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংকিং অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় এ দাবি ওঠে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ধীরে ধীরে আমরা সব প্রকার ব্যাংকিং কার্যক্রমে পেপারলেস হওয়ার দিকে যাচ্ছি।
এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমুদ হোসেন বলেন, ডকুমেন্টস ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা অনেক। এর জন্য ব্যাংকগুলোকে খুব বেশি অর্থও ব্যয় করতে হয় না। দরকার শুধু সদিচ্ছা।
বিআইবিএম’র সুপার নিউমারি অধ্যাপক হেলাল আহমেদ চৌধুরীও একই কথা বলেন। তার মতে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন, ব্যয় কমানো, দক্ষ সেবা প্রদান, দ্রুত সেবা প্রদান, সুষ্ঠু সমন্বয়, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন।
এ প্রতিষ্ঠানেরই আরেক অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ডিজিটালাইজেশনে কিছু ব্যাংক ভালো করছে, আবার কিছু ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। প্রথম ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে সুফল পেয়েছে সরকার। একইভাবে পুরো ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন করা হলে আরও অনেক সফলতা মিলবে।
এছাড়া কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ডিজিটাল স্বাক্ষর ও ই-স্বাক্ষর এখনও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এটি ডিজিটালাইজেশনের পথে বড় বাঁধা। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে বিভিন্ন ধরণের নীতিতে সহায়তা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট সহায়ক নির্দেশনা ও বিধিমালা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিআইবিএম’র অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএম’র মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ, চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এসই/এইচজে