ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশ না থাকায় বেড়েছে অন্য মাছের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
ইলিশ না থাকায় বেড়েছে অন্য মাছের দাম রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মাছের দাম

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় অন্যসব মাছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর মাছের দর বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

অন্যদিকে মাছের সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু-খাসির মাংস, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের বাজার।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, খিলগাঁও রেলগেট বাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় এসব বাজারে প্রতিকেজি (আকারভেদে) রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে এসব বাজারে প্রতিকেজি (আকারভেদে) রুই বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১০০ টাকা, কই ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি বাগদা চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গলদা ৪৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৫০০ থেকে ৯৫০, বাইন (নদী) ৫০০ থেকে ৯৫০ টাকা, বাইলা ৪৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, কাচকি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পুঁটি (দেশি) ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রচুর ইলিশের চাহিদা রয়েছে, যেহেতু ইলিশ নেই তাই ক্রেতারা অন্য মাছের (সাদা মাছ) প্রতি ঝুঁকছেন। তবে সাদা মাছের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় মাছের দাম বাড়তি রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ইলিশের ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ ছিলো পর্যাপ্ত। এখন ইলিশ না থাকায় সাদা মাছের প্রতি সবাই ঝুঁকছেন। তবে সরবরাহ কম থাকায় এসব মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

তবে তার যুক্তির সঙ্গে একমত নন ক্রেতারা। ফাহিম নামে এ বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশের সঙ্গে অন্য মাছের তুলনা করে দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ হতে পারে না। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেশি মুনাফা লাভের আশায় এ সময়টাকে বেছে নেন। মাছের দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

অন্যদিকে গরু ও মহিষের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম।

কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, লেয়ার (সাদা) ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার (লাল) ২৮০ টাকা কেজি দরে। প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, ছাগীর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে লাল ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমের দাম। এসব বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে ১১৫ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যসব ডিম। বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, সোনালী মুরগির ডিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।