ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইসলামপুরে ৮০ টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস জব্দ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
ইসলামপুরে ৮০ টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস জব্দ অভিযান চলাকালীন পরিস্থিতি, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০ টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস জব্দ করেছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। এর বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

বিশেষ অনুসন্ধান ও মামলা দায়েরের মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক-গার্মেন্টস বন্ড প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে।

সংস্থাটির সূত্র জানা যায়, বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকসের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে ইসলামপুরে পরপর তৃতীয়বারের মতো সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা।

সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ইসলামপুর এলাকার গুলশান আরা মার্কেটের পাঁচতলার পাঁচটি গোপণ গুদামে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস মজুদ পাওয়া যায়।

অভিযানটি সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় শুরু হয়ে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে সমাপ্ত হয়। পাঁচ উপ কমিশনার ও সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযানটিতে প্রায় ১০০ জন কাস্টমস বন্ড কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।

এসময় স্থানীয় চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে কাস্টমসের অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে শুরু করেন। তারা মার্কেটের বাইরের রাস্তা ব্লক করে দেন। মার্কেটের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। স্লোগান দিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালান। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর এবং স্থানীয় কোতোয়ালি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অভিযান সম্পন্ন করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর এলাকায় বন্ডেড অবৈধ ফেব্রিকসের চোরাই বাজার গড়ে উঠেছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নির্দেশনায় এবং কমিশনার এসএম হুমায়ূন কবীরের উদ্যোগে সম্প্রতি একটি বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

ইসলামপুর এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি-জনাকীর্ণ হওয়ায় এবং চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত সংগঠিত হওয়ায় এ ধরনের অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো।

অভিযান শেষে প্রায় ৮০ টন উন্নতমানের ডেনিম, শার্টিং, স্যুটিং ও জর্জেট ফেব্রিকস জব্দ করে কাস্টমস গুদামে জমা দেওয়া হয়।

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ৫ অক্টোবর ওই এলাকায় এ ধরনের আরও দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। তখন ১৮৪ টন বন্ডেড চোরাই বন্ডেড জব্দ করা হয়।

সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।