বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেভিড ম্যালপাস এসব কথা বলেন।
ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি, স্থবির বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের দুর্বলতা বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য নিরসন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।
ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বিশ্বে এখনো ৭০ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র। যা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১২ জনে অতিদরিদ্র। তবে এখনো নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সঠিক সিদ্ধান্ত এবং কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সুষম উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। দারিদ্র কমানোর লক্ষ্য বছরে অন্তত জিডিপির সাড়ে চার শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে কেবল অবকাঠামো উন্নয়নে। এ সময় গরিব দেশগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা অব্যাহত রাখা এবং বাড়ানোর ঘোষণাও দেন তিনি। দারিদ্র কমাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রশংসা করে তিনি এ ধারা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
বিশ্বব্যাংক সভাপতি বলেন, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন এবং বেসরকারি খাত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা কমতে পারে। বিশ্বব্যাপী মন্দ কীভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি সেই বিষয়ে আরও সাবধান হতে হবে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে তাদের আর্থিক নীতিমালা তৈরি করেছে। সুতরাং কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার বেশি বন্ডে শূন্য বা নেতিবাচক কার্যকারিতা রয়েছে। যা মূলধন অকার্যকর হয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের নতুন চিন্তাভাবনা দরকার।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ আমাদের নানা মিশনে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা অতিদারিদ্রতা প্রবণ দেশগুলোকে অর্থনীতির নানা পরিস্থিতিতে শক্তিশালী প্রোগ্রামগুলো তৈরিতে সহায়তা করছি। আমরা ডিজিটাল অর্থের মতো বেসরকারিখাতে বিনিয়োগকে আকৃষ্টকারী উদ্ভাবনগুলোকে উৎসাহিত করছি। আমরা আইনের শাসন এবং ঋণ পরিচালনায় জনসাধারণের অর্থায়নে স্বচ্ছতার প্রচার করছি। আমরা দেশগুলোকে বিদ্যুৎ এবং নিরাপদ পানি পেতে কাজ করছি। মেয়েশিশু ও নারীদের অর্থনৈতিকসহ বিভিন্নখাতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করছি। জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করতে এবং পরিবেশকে সুরক্ষা দিতে, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নত করতে এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে বিনিয়োগ করছি।
সভপাতি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরব। আমরা শেখার পরিমাপের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি চালু করছি। আমরা কর্মমুখী শিক্ষা চালু করবো। আমরা যতটা সম্ভব দারিদ্র্য হ্রাস করতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এমআইএস/এএটি