তিনি বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন (সাসেক) রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট’ আওতায় পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) এ চার দেশের মধ্যে মোটরযান চুক্তি, প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) প্রটোকলমত চুক্তি করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে অপারেটিং প্রটোকল বা স্ট্যার্ন্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেকহোল্ডার্স মিটিং’ এ তিনি এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারত সরকারের রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং, আসাম সরকারের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী।
ভারতে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভারত সাউথ এশিয়ান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় বাংলাদেশকে বেশির ভাগ পণ্যে ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু ভারতে আরোপিত ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ রেয়াত, খাদ্য পণ্যের টেস্টিং প্রক্রিয়া, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ, এসব কারণে বাংলাদেশ প্রত্যাশা মোতাবেক পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সমস্যাগুলো এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য এ সব আইন, নিয়ম-কানুন শিথিল করা একান্ত প্রয়োজন। এতে করে উভয় দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হঠাৎ করে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা অবহিত করলে বাংলাদেশ ন্যায্য মূল্যে বিকল্প পথে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারতো।
বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। দু’দেশের বাণিজ্য বেড়েই চলছে। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে তা হয়েছে ৮ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/