রোববার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে আইএফসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক সভায় একথা বলা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে জলবায়ু সর্ম্পকিত উদ্যোগের জন্য মূলধন সংগ্রহ করতে দেশে গ্রিন বন্ড মার্কেট তৈরির উপায় খুঁজছে আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএফসি)।
সুইডেন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএফসির যৌথ জরিপে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গ্রিন বন্ড মার্কেট তৈরি সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশে গ্রিন আর্থিতখাতের জন্য সরকারি সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে আইএফসি আজ গ্রিন বন্ড মার্কেট দ্রুত তৈরি করতে পারে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আইএফসির গ্রিন বন্ড এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দেশে গ্রিন বন্ড মার্কেটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চায়।
বাংলাদেশে গ্রিন বন্ড মার্কেটের বাজার ছোট ও অস্থায়ী। ২০১৮ সালে মোট বন্ডের বাজার ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার। যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তিতে পড়ায় আগ্রহ দেখান না বিনিয়োগকারীরা। গ্রিন বন্ড দেশে মার্কেট উন্নয়নে কাজ করবে। এতে আর্ন্তজাতিক ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন।
জরিপে বলা হয়েছে, গ্রিন বন্ড মার্কেট উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন গ্রিন বন্ড মার্কেট প্রসারে জাতীয় নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এসই/জেডএস